অত্যন্ত ন্যায্য এই প্রশ্ন এবং প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গত উত্তর দেওয়ার দায় সম্পাদকের।করোনা আবহে যখন জীবন ও জীবিকা অনিশ্চিত তখন বিদ্যাসাগরকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা কতটা সময়ের দাবীকে মান্যতা দেয়?একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকের ঝলমলে সভ্যতার আলোয় দাঁড়িয়ে ঊনবিংশ শতকের প্রায় অন্ধকার সময়কে নিয়ে নাড়াচাড়া করা কতটা প্রয়োজনীয় বা কোন প্রয়োজন নেই শুধু মাত্র বিলাসিতা।এখন যদি সম্পাদকের পক্ষ থেকে উত্তরে বলা হয় সব আর্থ সামাজিক সমস্যার সমাধান আছে বিদ্যাসাগর,অক্ষয় দত্ত, নেতাজী,স্বামীজী প্রমুখদের স্মরণ করার মধ্যে।তবে হয়তো উত্তরটা হেঁয়ালির মত শোনাবে।না,একটু সহজ করেই বলা ভাল। যেকোনো রাজনৈতিক বা সামাজিক আন্দোলনের প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে উন্নত রুচি সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের জন্ম দেওয়া।ইউরোপে রেনেসাঁস হয়েছিল বলেই ফরাসি বিপ্লব বা গৌরবময় বিপ্লব হয়েছিল।ভারতে রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর,অক্ষয় দত্তরা শুরু সাংস্কৃতিক আন্দোলন শুরু করেছিলেন।শুরু করেছিলেন তবে শেষ করতে পারেননি।নদীর স্রোত যেমন মরু পথে পথ হারিয়ে সাগরে যেতে পারেনা তেমনি রামমোহন বিদ্যাসাগর অক্ষয় দত্তের শুরু করা যুক্তিবাদী আন্দোলন বিংশ শতকে সাম্রাজ্যবাদীর কূটনীতির কাছে পরাস্ত হয়েছে আর পরাস্ত হয়েছে বলেই জাতীয়তাবাদের ছদ্মবেশে উগ্রজাতীয়তাবাদ দেশকে বিভাজিত করে বারবার নিজেদের অস্তিত্বকে বিপন্ন করেছে।অন্তহীন বিভাজন প্রতিদিন প্রতিটি মুহূর্তে বিভাজন ঘটিয়ে আমাদের সত্তাকে খণ্ডিত করছে।অবনমনের এই ধারাকে বিপরীতমুখী করতে আমাদের আশ্রয় নিতে হবে স্বামীজী,নেতাজী, রামমোহন এবং বিদ্যাসাগরে।লুপ্ত ঐতিহ্যকে স্মরণ করে আধুনিকতার সংমিশ্রণে পথ হাঁটতে হবে।প্রতিস্পর্ধী ক্ষমতা যখন বিভাজনের কুটচালে, অমানবিক অত্যাচারে দুর্বলকে পদদলিত করে তখন অবয়বহীন রামমোহন,বিদ্যাসাগর প্রমুখরা এসে জ্ঞানের মশাল,যুক্তির মশাল উত্তরসূরি যোদ্ধাদের হাতে তুলে দেন। আমরা দেখছি অচলায়তন সংস্কারকে আবার সমাজের উপর বিশেষ করে মহিলাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।নারী মুক্তি আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিদ্যাসাগরের কাছে নতজানু হয়ে নিজেদেরকে দীক্ষিত করতে হবে।পূজার ছলে বিদ্যাসাগরকে ঈশ্বর না বানিয়ে তাঁর মানবিক গুণাবলিকে চর্চা করে মানবতাবাদী আন্দোলনকে শক্তিশালী করার মধ্যেই রয়েছে সব সমস্যার সমাধান এবং সব প্রশ্নের উত্তর। Opinion Movers এর পক্ষ থেকে আন্তর্জালিক পত্রিকা বানানোর দ্বিতীয় প্রয়াসে প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য কিছু ভুল ত্রুটি থাকতে পারে আমরা তার জন্য আগাম ক্ষমাপ্রার্থী । অত্যন্ত আন্তরিক এই প্রয়াসে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রণে একটি সেতু তৈরির স্বপ্ন দেখেছি। লেখক লেখিকারা নিজেদের ব্যক্তিগত অবস্থান থেকেই বিদ্যাসাগরকে বিচার করেছেন।ভিন্ন চিন্তার বর্ণময় বহুত্বকে মেনে নিয়েই আমাদের নিবেদন এই আন্তর্জালিক পত্রিকা।
এই পত্রিকা সমস্ত সামাজিক মাধ্যম এবং এর বাইরেও পাঠযোগ্য করে তুলতে "কাঠের নৌকা'তে চড়াবার দায় বহনের জন্যে "ঈশানের পুঞ্জমেঘ' পরিবারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম।
এই পত্রিকা সমস্ত সামাজিক মাধ্যম এবং এর বাইরেও পাঠযোগ্য করে তুলতে "কাঠের নৌকা'তে চড়াবার দায় বহনের জন্যে "ঈশানের পুঞ্জমেঘ' পরিবারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম।
দীপক সেন গুপ্ত
মুঠোফোন- ৯৪৩৫১৭৩২৮০
মুঠোফোন- ৯৪৩৫১৭৩২৮০
পুরো কাগজটি আপনি নির্বিঘ্নে এখানে পড়তে পাবেন। আপনার কম্পিউটারের পুরো পর্দা জুড়ে পড়তে পারেন। নামিয়ে নিয়ে পরে অবসরেও পড়তে পারেন। তার জন্যে নিচের বোতামগুলো ব্যবহার করুন। মোবাইলে পড়লে ব্লগার এবং স্ক্রাইবড নামিয়ে নিলে সুবিধে।
নিজেরা বইটি তৈরি করাতে স্ক্রাইবডে সামান্য হরফ ভেঙে যেতে পারে। যদিও নামিয়ে নিলে ঠিকঠাক দেখাবে... সেই ক্ষেত্রে নিচে বিকল্প দেখুন... ফ্লিপএইচএইচটিএমএল 5 ডট কমে...সেখানে রীতিমত পাতা পালটে বই পড়বার মতো করেই পড়তে পারবেন...
বিদ্যাসাগর স্মরণে : ওপিনিয়ন... by Sushanta Kar on Scribd
No comments:
Post a Comment