শতাব্দী পার করেও তিনটি দশক পার করতে চলেছে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ।
পূর্বোত্তরে এর একটিই শাখা এখনও সজীব আছে। আর সেটি ঔপনিবেশিক অসমের রাজধানী শিলঙে।
দেড় দশক পরে এই শাখারও শতবর্ষ আসছে। এর মুখপত্র ‘কর্মশালা’-র বয়স
ত্রিশ বছর অতিক্রম করেছে। লোকে বলেন, লিটল
ম্যাগাজিনের কাজ সাহিত্যের আন্দোলন গড়ে তোলা, নতুন লেখন ধরণ
গড়ে তোলা, নতুন লেখক গড়ে তোলা। এমন এক সংগঠনের মুখপত্রকে
অনেকে লিটল ম্যাগাজিন বলে মানতে নারাজ। কিন্তু মেঘালয়ে তথা রাজধানী শহরে যদি বাংলা
ভাষা ও সাহিত্য চর্চার প্রদীপটি কোনও সংগঠন ধরে রেখেছে—তবে
এই বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এবং এর মুখপত্র ‘কর্মশালা’।
পূর্বোত্তরের কেউ একে ‘লিটল ম্যাগাজিন না'
বলে ধরেন না। এরা নিজেরাই লিটল ম্যাগাজিন সম্মেলন একাধিকবার আয়োজন
করেছিলেন। এই অব্দি আটটি সম্মেলনে নিজেরা প্রতিনিধিত্বও করেছেন সগৌরবে। কাগজটি
যারাই পড়েছেন, জানবেন—এরা ভাষা সাহিত্য
অনুশীলন অনুসন্ধানে হালকা কিছু করেন না। বহু কষ্ট করে প্রতিকুল পরিবেশে বের করেন।
এই সংখ্যার সম্পাদকীয়তেও মনিপুরের জাতি দাঙ্গা প্রশ্নে সেই প্রতিকুল পরিবেশের কথাই লিখেছেন দেবশক্তি দত্ত।
২৪ পৃষ্ঠার এই ছোট্ট কাগজে এরা গল্প কবিতা এবং চিন্তা সমৃদ্ধ প্রবন্ধে
সাজিয়েছেন। এরই মধ্যে বঙ্গীয়
সাহিত্য পরিষদের হয়ে সংযুক্তা দাস পুরকায়স্থ লিখছেন ‘মেঘালয়ের বাংলা সাহিত্য’। ধারাবাহিক রচনা। এই সংখ্যাতে প্রকাশ পেল চতুর্থ পর্ব। পূর্বোত্তরের বাইরের পাঠকের কাছে
এটি একটি বড় প্রাপ্তি হবে। পরিষদের পক্ষে কাগজটি প্রকাশ করেন ধনঞ্জয় চক্রবর্তী।
সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগর পথ একেবারে শেষে বলা আছে, অনুগ্রহ করে দেখবেন।
এর আগে একটি সংখ্যা এসেছিল। এবারে আরও একটি সংখ্যা কাঠের নৌকাতে আসছে। ৩১
বছর, ১ম সংখ্যা। আর সেটি সম্ভব করেছেন এর সম্পাদক কাশীনাথ চক্রবর্তী(শঙ্কু)।
আপনি কম্পিউটারের পুরো
পর্দা জুড়ে পড়তে পারেন। নামিয়ে নিয়ে অবসরে পড়তে পারেন। যারা মোবাইলে পড়ছেন তাদের
হয়তো দুটো এপ্স দরকার পড়তে পারে। ১) ব্লগার্স, ২) স্ক্রাইবড। নাম দুটিতে ক্লিক করে
প্রাসঙ্গিক লিঙ্কে পৌঁছান। নামিয়ে নিন। আর একে একে পড়তে থাকুন
কর্মশালা ৵ ৩১ বছর ৵ ১ম সংখ্যা ৷৷ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, শিলঙের মুখপত্র ৷৷ by Sushanta Kar on Scribd
No comments:
Post a Comment