নব্বুই দশকের শুরুতে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে বেরুনো ছোট কাগজ ‘গেরিলা’ সম্পর্কে সেলিম মুস্তফা লিখেছেন এই কথাগুলো...👉
আজ থেকে ৩০ বছর আগের কথা ।
১৯৮৮ সালের শেষ দিকে আমি আগরতলায় বদলি হই । কবি অরুণ বণিকের সঙ্গে আগেরই পরিচয় । ১৯৯০ এর শুরুতে ‘গেরিলা’ নামে একটা ছোটো কাগজ করার সিদ্ধান্ত নিই আমরা । এ কাজে আমাদের সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেন অক্ষর পাবলিকেশনের শুভব্রত দেব, আমাদের রতু । প্রেসে নানা কাজে ব্যবহৃত একটু ভারী কাগজের ছাঁট, মানে ৫ বা ৬ ইঞ্চি মাপের লম্বা ফালি বেরুত । ঐ কাগজটাতেই আমরা পত্রিকা করবো সিদ্ধান্ত নিই । রতু সে কাগজগুলো আমাদের জন্য রেখে দিত আর জরুরি কাজ ফেলে রেখে হলেও আমাদের আবদার মেটাত গেরিলা দ্রুত ছেপে দিয়ে । তাকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই ।
আজ বই ঘাঁটতে গিয়ে সহসাই পেয়ে যাই সে কাগজের দুটো সংখ্যা । গতকালই একজন কোলকাতা থেকে এই কাগজ চাইছিলেন হাংরি-সাহিত্যের ওপর তাঁর গবেষণার জন্য । আসলে সব কাগজই আমার ঘরে উঁই-এর পেটে গেছে । তবে আগরতলায় হয়তো অনেকের কাছেই এই কাগজের বিভিন্ন সংখ্যা এখনো রয়ে গেছে । এই কাগজের কথা সেই ইন্টারনেটহীন সময়েই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে !
এখানে যে সংখ্যা দুটো পেলাম সেগুলোর একটা হলো ১৪-১৭ নং নভেম্বর ১৯৯০ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ । অপরটা ১৮-২০ নং সংখ্যা, ১৯৯১-এর মার্চ থেকে মে । সম্পাদক অরুণ বণিক ।
অঙ্কুর দেববর্মা নামে আমাদের (অরুণের বন্ধু ব্যক্তি, পরে আমারও) এক বন্ধু ছিলেন, যিনি শচীন কর্তার সম্পর্কিত ভাই সম্ভবত । তিনি খুব সুন্দর গাইতে পারতেন কর্তার গানগুলো । আর এই লোভেই তাঁর বাড়িতে আমরা প্রায়ই যেতাম । তাঁর কিশোর ছেলে শান্তনু ছবি আঁকতো । গেরিলার ১৮-১৭ নং সংখ্যার প্রচ্ছদ তাই কুমার শান্তনু করে দেয় । এর পরের ১৮-২০ নং সংখ্যার প্রচ্ছদ করে দেন কবি ও চিত্রশিল্পী শ্রীমতী সুভদ্রা সিংহ ।
📖📖📖📖📖📖📖📖📖📖📖📖📖📖📖📖📲📲📲📲📲
আপনি কম্পিউটারের পুরো পর্দা জুড়ে পড়তে পারেন। নামিয়ে নিয়ে অবসরে পড়তে পারেন। যারা মোবাইলে পড়ছেন তাদের হয়তো দুটো এপ্স দরকার পড়তে পারে। ১) ব্লগার্স, ২) স্ক্রাইবড। নাম দুটিতে ক্লিক করে প্রাসঙ্গিক লিঙ্কে পৌঁছান। নামিয়ে নিন। আর একে একে পড়তে থাকুন।
গেরিলা ৷৷ ১৪-১৭ by Sushanta Kar on Scribd
গেরিলা ৷৷ ১৮-২০ by Sushanta Kar on Scribd
No comments:
Post a Comment