চিত্র তথা , ভাস্কর্য শিল্পের এখন অনেকটা স্বর্ণযুগ চলছে শিলচর তথা বরাক উপত্যকাতে। ব্রহ্মপুত্রের মতো রমরমা সেখানে অতি সাম্প্রতিক। যদিও শিল্পী কিম্বা গুণগ্রাহীর কোনদিনই অভাব ছিল না, কিন্তু প্রদর্শনী ইত্যাদির ব্যবস্থা প্রায় ছিল না বললেই চলে। সম্ভবত অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরে চিত্রকলাটি বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়, আর গোটা পূর্বোত্তর থেকে ছাত্ররা সেখান পড়তে যান বলে দৃশ্য শিল্পের একটা যেন নতুন জোয়ার এসছে সেখানে। বছর ভর দৃশ্য শিল্পকে নিয়ে প্রদর্শনী, বা কোন অনুষ্ঠান, উপত্যকার বাইরে গিয়ে শিল্পীদের প্রদর্শনীর সংবাদ এখন ঘনঘনই শোনা যাচ্ছে। যাদের উদ্যোগে এসব হচ্ছে, তাদের অন্যতম
একটি প্রতিষ্ঠান 'শিল্পাঙ্গন' । তাঁরা যে ছাত্র পড়ান, আর সেই ছাত্র-চাহত্রীরা বেশ ভালোরকম পাশও করে এই কাগজ
'আর্ট-ইকো'র শেষের পাতাগুলোতে নজর দিলেই বোঝা যাবে। সেটি কোন সংবাদ নয়, এর ইতিহাস এখানে আর যেকোন জায়গার মতোই প্রাচীন। যেটি নতুন, সেটি এই যে এরা এই ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে, কিম্বা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের বাইরে উপত্যকার গ্রাম এবং শহর থেকে আগামী দিনের শিল্পী বের করে আনতে চান, শিল্প নিয়ে পাঠ্যক্রমের বাইরে ভাবাতে এবং কাজ করাতে চান । তাই গেল তিন বছর ধরে বের করছেন এই দ্বিভাষিক কাগজ । সম্পাদনা করেন তপোজ্যোতি ভট্টাচার্য। মূদ্রণ এবং প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন
সন্দিপন দত্ত পুরকায়স্থ। পূর্বোত্তর ভারতে এমন কাগজ বোধকরি এটিই প্রথম। সন্দিপনই আমাদের এই সংখ্যাটি পাঠালেন বলে ধন্যবাদের পাত্র। দৃশ্য শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের কাছে ভাষার সমস্যাটি একটু স্বতন্ত্র। নানাভাষী শিল্পীদের নিয়ে কাজ, তার উপরে অনেক উঠতি শিল্পীরাই আজকাল ইংরাজী মাধ্যমের ছাত্র কিম্বা ছাত্রী । তাই মনে হয় কাগজটিকে এরা ইংরাজি এবং বাংলা এই দু'ই ভাষাতে করেছেন। বাংলা লেখক তালিকাতে অন্য দুই একজনের সঙ্গে এই সংখ্যাতে অসমের অন্যতম দৃশ্য-শিল্প সমালোচক, কবি এবং কথাশিল্পী কুমার অজিত দত্তেরও একটি লেখা রয়েছে বাংলাতে। ইংরেজি নিবন্ধগুলো এবং প্রচ্ছদ পরিকল্পনাতে ধরা যায় এদের শ্রম আর ভাবনার গভীরতা। ৩য় বর্ষ, ৬ষ্ঠ সংখ্যা, বেরিয়েছিল গেল শারদোৎসবে। প্রচ্ছদগুলো পিডিএফে ধরা যায় নি। আমরা তাই আলাদা করে পেশ করছি। বাকি কাগজ আপনি এখানে পুরোটাই পড়তে পাবেন।
No comments:
Post a Comment