Sunday, April 17, 2022

উজান ৵ সপ্তদশ সংখ্যা; ২০২১


উজান এখন সপ্তদশী। সপ্তদশ সংখ্যা বেরোল গেল  ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১। রবিবারে।  উন্মোচন করলেন, লেখক,সমাজকর্মী তথা  চিকিৎসক ডাঃ মৃন্ময় দেব। এবারে কাগজের মূল ভাবনা ছিল অতিমারি। নিরস প্রবন্ধে এবং সরস গল্পে বিষয়গুলো এসেছে। কবিতাতেও বহু কবি একে ছুঁয়েছেন। বেশ কটি অ-বাংলা লেখাও সংগ্রহ করে অনুবাদে পরিবেশিত হয়েছে। এর মধ্যে সুপরিচিত তরুণ গবেষক সুরজ গগৈর একটি নিবন্ধ এবং অসমিয়া  কথা সাহিত্যিক ইমরান হোসেনের কবিতা বাংলাতে অনুবাদ করেছেন সুশান্ত কর। রশ্মিরেখা বরার কবিতা অনুবাদ করেছেন ময়ূরী শর্মা বরুয়া। একটি মিঞা কবিতা লিখেছেন কাজি নীল।   
স্বাস্থ্যকে অবজ্ঞা করে রোগকেন্দ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের বিপদকে কতটা গভীর করেছে লিখেছেন ডাঃ মৃন্ময় দেব। অরূপ বৈশ্য প্রবেশ করেছেন জীবাণু বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিকে কতটা সংক্রমিত করেছে তার অনুসন্ধানে অনেক গভীরে। অতিমারির ইতিহাস ধরে  রোগ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আমাদের সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুদীপ নাথ। অতিমারির দিনে আমাদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধ্যাপিকা সীমা ঘোষ। প্রকৃতি ধ্বংস করে কীভাবে আমরা প্রথমে জন্তু জানোয়ারকে বিপন্ন করছি আর পরে নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি ছোট্ট নিবন্ধে লিখেছেন শঙ্খ শুভ্র দেব বর্মণ। তানিয়া লস্কর ছোট্ট করে অতিমারির দিনে মহিলা আর তৃতীয় লিঙ্গের প্রতি বৈষম্যের ছবিটা এঁকেছেন। সুরজ গগৈ সুপরিচিত সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র। মূলত ইংরাজিতে লেখেন। অতিমারির কালের জীবন নিয়ে তাঁর একটি ছোট্ট সকৌতুক রচনা  লেখাটি অনুবাদে আছে।
সেরকমই অনুবাদে রয়েছে ইমরান হোসেন এবং  রশ্মিরেখা বরার কবিতা । প্রথমটির অনুবাদ করেছেন সুশান্ত কর, দ্বিতীয়টি ময়ূরী শর্মা বরুয়া। কাজী নীলের একটি মিঞা কবিতা’-ও রয়েছে। প্রবীণ কবি পীযুষ রাউত, সমরজিৎ সিংহ, কিম্বা কথাশিল্পী কিশোর রঞ্জন দেব সহ ত্রিপুরার প্রবীণ ও নবীন লেখকদের লেখাতেই সংখ্যাটি সেজে উঠেছে। যদিও অসম বাংলা এমন কি বাংলাদেশের লেখকেরাও যথারীতি রয়েছেন।
 
         দ্বিতীয় ঢেউর ধাক্কাতে জ্ঞানপীঠ বিজয়ী শঙ্খ ঘোষের বিদায় একটি মহীরুহের পতন। সেরকমই এবারে রবীন্দ্রোত্তর ভারতের এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব সত্যজিৎ রায়ের জন্ম শতবর্ষ। অধ্যাপক শাওন নন্দি কবি শঙ্খ ঘোষের কাব্য চিন্তার সামান্য ঝলক তুলে ধরলেন তো, অসমেরই তিন কবি সঞ্জয় চক্রবর্তী, তপন মোহন্ত ও নবীন নীলদীপ চক্রবর্তী তাঁর কবিতাভূবনের। দীপক সেনগুপ্ত সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে নিজের ভাবনাকে নথিবদ্ধ করেছেন।
               এছাড়াও রবিন ভট্টাচার্য,রাম চন্দ্র পাল,কমলিকা মজুমদার ,নীলদীপ চক্রবর্তী,স্নিগ্ধা নাথ,অর্জুন দাস,শান্তনু সরকার,বসু ভট্টাচার্য,প্রমুখের কবিতা যেমন রয়েছে,গল্পে আরও রয়েছেন বরুণ সাহা,অজিত কর,মঞ্জরি হীরামনি রায় প্রমুখ।
 প্রচ্ছদ যথারীতি সাজিয়েছেন ত্রিদিব দত্ত। ভেতরের অলঙ্করণে ছবি এঁকে দিয়েছেন সংকর্ষণ পড়ূয়া, কঙ্কণ দাস প্রমুখ।

         

আগের দুটি  সংখ্যাও "কাঠের নৌকাতেচড়েছিল। এখানে পড়তে পারেন।


এবারে চড়ছে সপ্তদশ সংখ্যা...আপনি এখানেই পত্রিকাটি পুরো পড়তে পারেন। অবসরে পড়বার জন্যে নামিয়ে নিতেও পারেন।মোবাইলে পড়তে হলে আপনার দরকার পড়তে পারে ১) ব্লগার্সএবং ২) স্ক্রাইবড। সেগুলো গোগোল প্লেস্টোর্স থেকে নামিয়ে নিলে সুবিধে।

                                           ডাঃ মৃন্ময় দেবের সেদিনকার বক্তৃতাটি এখানে রইল👇👇

 

উজান ৵ সপ্তদশ সংখ্যা; ২০২১ by Sushanta Kar on Scribd

No comments:

Post a Comment

Related Posts with Thumbnails