‘অভিনয় ত্রিপুরা’ -র
এটি ৭ম বর্ষ, ২য় সংখ্যা । এর আগেও দুটি সংখ্যা এসেছিল 'কাঠেরনৌকো'তে।
মুনমুন ঘটকের সম্পাদনাতে বেরোয় পশ্চিম ত্রিপুরার , দক্ষিণ
বাধার ঘাট থেকে। নাটক যে অভিনয় করা বা
দেখবার বাইরেও একটি সাহিত্যিক বিষয়, সাধারণত আমাদের সাহিত্যের
কাগজগুলোও ভুলে থাকেন। তাই , নাটক প্রায়ই প্রকাশের মুখ দেখে না।
উত্তর পূর্বাঞ্চলে বহু প্রতিভাবান নাট্যকার থাকা সত্ত্বেও করতে গেলে নাটক পাওয়া
ভার হয়। অভিনয় ত্রিপুরা এই ঘরানা পালটে দিচ্ছে। নিয়মিত নাটক প্রকাশ করছে । যেমন এই
সংখ্যাতে আছে মধুমিতা নাথের শ্রুতি নাটক ‘অন্য জানকী’ ।
নাটক নিয়ে আলোচনা আড্ডার অভাব হয় না কোনো। যে কোনো অভিনয় কিম্বা
প্রতিযোগিতার এসব অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আনুষ্ঠানিক আলোচনার আয়োজন না করলেও অভিনেতা,
নাট্যমোদী দর্শকের মধ্যে তরক বিতর্ক দানা বাঁধেই। কিন্তু সেগুলো ছাপা
হয়ে স্থায়ী রূপ নেয় অতি স্বল্প। ফলে স্থান-কালের গণ্ডি অতিক্রম করে ভাবনাস্রোতের
ধারাবাহিকতা বলে কিছুই রক্ষিত হয় না। সেই অভাবও পূরণ করে আসছে ‘অভিনয়
ত্রিপুরা।’ এই যেমন এই সংখ্যাতে সুভাষ দাস এবং পার্থসারথী
দেবে লেখা দুটি এই জাতের। খালেদ চৌধুরী নিয়ে খেটে খুটে লিখেছেন গৌতম ভট্টাচার্য,
সেরকমি আরো দুই স্মৃতিকথা লিখেছেন সমীর ধর
এবং লক্ষণ কুমার ঘটক। এবারের সংখ্যাটি ছোট। সাকুল্যে ৪৮ পৃষ্ঠা, তবু লেখা সংগ্রহে সম্পাদিকার শ্রম, মুদ্রণে যত্ন এবং নিষ্ঠা, রুচি
বোধ এসবতো প্রশ্নাতীত।
সম্পাদনা সমিতির অন্যতম সদস্য কবি-অভিনেতা লক্ষণ কুমার ঘটক এই সংখ্যার
পিডিএফ পাঠানোতে আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করছি অতীতের সংখ্যাগুলোও তিনি পরে
পরে পাঠাবেন। পরের সংখ্যাগুলোতো পাঠাবেনই। যদি লেখা পাঠাতে চান, বা
ছাপা প্রতিলিপি পেতে চান তবে আগ্রহীদের জন্যে ঠিকানা ইত্যাদি নিচে রইল।
ছবিগুলোতে দু'বার
করে ক্লিক করুন। বড় হয়ে যাবে। পড়তে পারবেন।আপনি কম্পিউটারের পুরো পর্দা জুড়ে পড়তে
পারেন। নামিয়ে নিয়ে অবসরে পড়তে পারেন। আপনার শুধু দরকার পড়তে পারে এডোব ফ্লাস
প্লেয়ারের, সেটি এখান থেকে নামিয়ে নিন ( ম্যাক-কাফেসিকিউরিটি সফটোয়ার এড়িয়ে যাবেন)।
No comments:
Post a Comment