প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন কমিউনিষ্ট বিপ্লবী।
তেভাগা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। বাংলা দেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়েও অসম মেঘালয়ে
সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবী, জীবনের পঞ্চাশ বছর
পার করে লিখতে শুরু করেন অঞ্জলি লাহিড়ি। ক্রমেই অসমের বাংলা সাহিত্যের অভিবাবকস্বরূপা হয়ে উঠেন। নিজে অবিভক্ত কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য ছিলেন
যখন বিয়ে করেছিলেন তখনকার আরসিপিআই দলের আরেক কর্মী প্রয়াত নিরেন লাহিড়িকে।
অসমীয়া সাহিত্যে-সংস্কৃতি আঙিনাতেও তাঁর বন্ধু অনুরাগীর সংখ্যা কম ছিল না।
প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক নিরূপমা বরগোঁহাঞি তাঁর ব্যক্তিগত বান্ধবী ছিলেন। সেই অঞ্জলি
লাহিড়ি ৯১ বছর বয়সে চলে গেলেন গত বুধবার যখন ১১ ডিসেম্বর,২০১৩ রাতে। পরদিনই লেখিকার জীবন এবং
কর্ম নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন দৈনিক যুগশঙ্খে লিখেছিলেন, ব্যতিক্রমের সম্পাদনা পরামর্শদাতা বাসব রায়, আমরা সেটিই এখানে তুলে দিচ্ছি
যাতে অসম তথা পূর্বোত্তরের বাইরের পাঠকদের সুবিধে হয় তাঁর সম্পর্কে একটি ধারণা নিতে।ছবিগুলোতে ক্লিক করুন দু'বার বড় হয়ে যাবে।
তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে
তাঁক কর্মকে আন্তর্জালে ছড়িয়ে দিতে আমাদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন ভিকি প্রকাশনী।
তাঁদের প্রকাশিত মেঘালয়ের খাসি জনজীবনের প্রেক্ষিতে লেখা তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস 'বিলোরিস' আমাদের পাঠিয়ে দিলেন। ভিকিকে তার জন্যে
ধন্যবাদ। যারা বইটি কিনতে চাইবেন, তাঁরা গুয়াহাটির ‘বারোমাস বইমেলা’তে খবর করতে
পারেন, সম্পাদকে সৌমেন ভারতীয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারেন, অথবা ভিকির সাইটে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
তাঁর তিন উপন্যাসের প্রথম 'বিলোরিস' দশক কয় আগে বেরিয়ে
বেশ খ্যাতি কুড়োলেও পাওয়া যাচ্ছিল না। ভিকি প্রকাশনী ২০১০এ সেটি আবার প্রকাশ করে।
এবারে প্রকাশিত হচ্ছে 'কাঠের নৌকা'তে। বইটি সম্পর্কে লেখিকার নিজের কথা রইল এখানে।
আশা করছি বইটি ছড়িয়ে দিতে ঈশান ভারতের প্রতিজন সাহিত্য
কর্মী এগিয়ে আসবেন।
আপনি পুরো বইটি এখানে
পুরো পর্দা জুড়ে পড়তে পারেন। নিচের বোতাম গুলো লক্ষ্য করুন। ইচ্ছে করলে নামিয়েও
নিতে পারেন। আপনার শুধু দরকার পড়তে পারে এডোব ফ্লাস প্লেয়ারের। সেটি এখান থেকেনামিয়ে নিন।
No comments:
Post a Comment